ZoyaPatel
Ahmedabad

প্রফেশনাল ওয়েব সাইট বানিয়ে অর্থ উপার্জন করুন মাত্র ৫টি ধাপে!

  

একটি ওয়েব সাইট হতে পারে আপনার জীবনের মূল্যবান একটি সম্পদ। ধাপে ধাপে এর উন্নয়নের মাধ্যমে ওয়েব সাইটটিকে বিশাল সম্পদে পরিণত করতে পারেন। যা আপনাকে অর্থ খ্যাতি দুটোই এনে দেবে। ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আপনার কর্ম আপনার নিজের পরিধিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পারেন। দিন দিন ওয়েব সাইটের জনপ্রিয়তা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এখনই নিজের একটি ওয়েব সাইট বানিয়ে নিন। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে দেখাব কিভাবে একটি প্রফেশনাল ওয়েব সাইট বানিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

ধাপ- :  ওয়েব সাইট তৈরি করার আগে ওয়েব সাইটের একটি নাম নির্বাচন করতে হবে। যাকে বলা হয়ডোমেইনএবং এই ডোমেইন এর সাথে কোন ধরণের এক্সটেনশন  .com, .net, .info etc. নিতে চান তাও নির্বাচন করতে হবে। উল্লেখ্য, .com, .net/.info ইত্যাদি হলো পেইড ডোমেইন অর্থাৎ এই ধরণের এক্সটেনশন যুক্ত ডোমেনইনগুলো ডোমেইন প্রোপাইটরের কাছ থেকে কিনে নিতে হয়  এবং এই ধরনের ডোমেইনগুলো প্রতি বছর নির্দিষ্ট অর্থ দিয়ে রিনিউ করতে হয়। আপনি চাইলে ফ্রি ডোমেইন দিয়ে কার্যক্রম শুরু করতে পারেন। ফ্রি ডোমেইনের জন্য ব্লগার ডট কম ও ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম বিশ্বখ্যাত। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রতি বছর টাকা খরচ করে রিনিউ করতে হবেনা। তবে আপনার পছন্দের ডোমেইনটি অনলাইনে এভেইলেবল আছে কিনা অর্থাৎ খালি আছে কিনা সেটা যাচাই করে নিতে হবে। আপনার নির্বাচিত ডোমেইনটি অর্থাৎ ওয়েব সাইটের নামটি পূর্বে অন্যকেউ নিয়ে থাকলে আপনি সেটি আর নিতে পারবেন না। ডোমেইনটি অনলাইনে এভেইলেবল আছে কিনা তা নেইমটচপ ডট কম ওয়েবসাইট থেকে যাচাই করে নিতে পারেন।

ধাপ- : ওয়েব সাইট তৈরির দ্বিতীয় ধাপ হলো হোস্টিং। ডোমেইন হোস্টিং এর সমন্বয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়। শুধুমাত্র ডোমেইন হোস্টিং এর সমন্বয়ে ওয়েবসাইট বানাতে হয়। একটি অন্যটির সাথে গভীরভাবে জরিত। বলতে গেলে একটি ছাড়া অন্যটি চলেনা। হোস্টিংকে বলা হয় ওয়েবসাইটের মেমোরী। অর্থাৎ একটি ওয়েব সাইটে যত তথ্য বা ডাটা সংরক্ষিত থাকে তার সবকিছুই হোস্টিংয়ের মাধ্যমে সার্ভারের জমা হয়। সুতরাং আপনি যদি আপনার ওয়েব সাইটে বেশি পরিমান তথ্য সংরক্ষণ করতে চান তাহলে আপনাকে বেশি পরিমান হোস্টিং নিতে হবে। আপনি যদি বেশি পরিমাণ হোস্টিং নেন তাহলে বেশি পরিমান ব্যান্ডউইথ নিতে পারবেন। ব্যান্ডউইথ হলো হোস্টিং রিলেটেড সার্বিস। বেশি ব্যান্ডউইথের মাধ্যমে বেশি পরিমান ভিজিটরকে একসাথে আপনার ওয়েব সাইট ভিজিট করার সুযোগ দিতে পারবেন। হোস্টিংয়ে ব্যান্ডউইথ পরিমান কম থাকলে বেশি পরিমান ভিজিটর একসাথে ওয়েব সাইটটি ভিজিট করলে ওয়েব সাইটের গতি কমে যাবে অর্থাৎ দ্রুত লোড হবে না। তাই আপনি যদি প্রত্যাশা করেন আপনার ওয়েব সাইটে ভিজিটর বেশি আসার সম্ভাবনা আছে তাহলে হোস্টিং ব্যান্ডউইথ বেশি পরিমান নেওয়াই ভালো।  আপনি যদি ফ্রি ডোমেইন নিয়ে থাকেন তাহলে আর হোস্টিং নিয়ে ভাবতে হবে না।

ধাপ- : ওয়েব সাইট ডিজাইনের মূল ধাপ শুরু হয় মূলত ডোমেইন হোস্টিং কেনার পর। আর সেটা হলো- ওয়েব সাইটের থিম অর্থাৎ ওয়েব সাইটের ইন্টারফেস। এগুলো ফ্রিতে ওয়েব সাইটে ইনস্টল করা যায় আবার প্রিমিয়াম ভার্সনও পাওয়া যার যা মূল্য দিয়ে খরিদ করতে হয়। আপনার ফ্রি ডোমেইনটি যদি ব্লগার ডট কম থেকে নিয়ে থাকেন তাহলে সেই ওয়েব সাইটের থিম অপশন থেকে ফ্রি থিম ডাউনলোড দিয়ে ইনস্টল করে নিতে পারবেন। এই ধাপগুলো সম্পন্ন করলেই আপনার মূল ধাপগুলো সম্পন্ন হবে। কবে আপনার ওয়েব সাইট রিলেটেড থিম পছন্দ করার চেষ্টা করুন। যেমন আপনি যদি নিউজ পাবলিশিংয়ের জন্য ওয়েব সাইট বানাতে চান তাহলে নিউজ ক্যাটাগরির থিম ব্যাবহার করবেন।

ধাপ- :  নিয়মিত কন্টেন্ট পোস্ট করুন। কমপক্ষে ১০ টি পূর্ণাঙ্গ কনটেন্ট আপলোড করুন। অন্য সাইট থেকে কপি করে আনা যাবে না। পোস্টগুলো এবং পোস্টের ইমেজগুলো নিজেই তৈরি করতে হবে। কমপক্ষে টি মূল মেনু তৈরি করুন। এবং আরও টি অতিরিক্ত মেনু বা পেইজ তেরি করুন যেখানে থাকবে- About, Contact, Privacy and Policy, Terms and Conditions এই পেইজগুলোর কনটেন্ট অনলাইন থেকে সংগ্রহ করে এবং তা আপনার সাইটের তথ্য দিয়ে সম্পাদন করে পেইজগুলো পাবলিশ করুন। এই ধাপের কাজগুলো সম্পন্ন করতে একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এর মধ্যে আপনার প্রধান কাজ হবে একটি গুগল এডসেন্ট একাউন্ট খোলে ভেরিফিকেশন করা। সব ধাপগুলো শেষ হলে আশা করি কিছু দিনের মধ্যেই আপনার সাইটে এডসেন্স এপ্লাই করতে পারবেন।

ধাপ- : নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড করে আপনি আপনার ওয়েব সাইট থেকে অর্থ উপার্জন করার জন্য প্রস্তুত। ওয়েবসাইট এসইও করে অধিক ট্রাফিক বা ভিজিটর এনে আপনার উপার্জন বহুগুণে বৃদ্ধি করতে পারেন।

Mumbai
Kolkata
Bangalore
Previous Post Next Post